ইন্টারনেট কি ? বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা - ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা [বিস্তারিত ২০২৩]
ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেটের নানান সুবিধা, অসুবিধা এই সকল বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো-
![ইন্টারনেট কি ? বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা - ইন্টারনেটের সুবিধা ও অসুবিধা [বিস্তারিত ২০২৩]](https://glewei.com/uploads/images/202302/image_750x_63fa4e0fb5593.jpg)
ইন্টারনেট কি ?
ইন্টারনেট হলো বিশ্বব্যাপী একটি জাল যা প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন কম্পিউটার, সার্ভার, রাউটার, মডেম, স্টোরেজ ডিভাইস এবং অন্যান্য পরিকল্পনা যুক্ত করে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রায় সব ধরণের তথ্য একটি স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রেরণ করতে পারেন, যা আলাদা আলাদা সাধারণ পরিকল্পনা ব্যবহার করে করা অসম্ভব।
ইন্টারনেটে প্রকৃত সুবিধাগুলো এমনঃ ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম, অনলাইন পেমেন্ট প্রণালী, বিনামূল্যে তথ্য সংগ্রহ এবং সংশোধন করা, বিভিন্ন পরিকল্পনা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকারের খেলাধুলা খেলা এবং নিজের কাজ করার জন্য স্বতন্ত্রতা এবং নিরাপত্তা সম্পর্কে।
ভারত ইন্টারনেট ব্যবস্থা
ভারতে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিশাল এবং বিস্তৃত। ভারতের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরণের সংযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যেমন এডএসএল, ডিএসএল, ব্রডব্যান্ড এবং স্যাটেলাইট। ভারতের অধিকাংশ মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে এবং সর্বশেষ তথ্যে ভারতের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ৫৫০ মিলিয়নের বেশি।
ইন্টারনেট কত প্রকারভেদ ও কি কি?
ইন্টারনেটকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অনেকভাবে ভাগ করা হয়েছে। ইন্টারনেট মূলত ৬ প্রকার;
- ডায়াল-আপ (Dial-up)
- ডিএসএল (DSL)
- স্যাটেলাইট (Satellite)
- ক্যাবল ( Cable)
- ওয়ারলেস (Wireless)
- সেলুলার (Cellular)
কিভাবে ইন্টারনেট কাজ করে?
ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী একটি নেটওয়ার্ক যা বিভিন্ন ডিভাইস ও কম্পিউটারগুলির মাধ্যমে তৈরি হয়। এর মধ্যে ডিজিটাল তথ্য পরিবহন এবং স্টোর করা হয় যা কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে সংযোগ ব্যবস্থা করে।
ইন্টারনেটে ডেটা পরিবহন করা হয় বিভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করে। প্রতিটি ডেটা প্যাকেট আছে যা পরিবহন করা হয় বিভিন্ন সংস্থাগুলির মধ্যে। প্রতিটি প্যাকেট একটি ডেস্টিনেশন ঠিকানায় প্রেরণ করা হয় এবং সেটি পৌঁছানো হয় বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে।
এছাড়াও ইন্টারনেটের জন্য ব্যবহৃত একটি গ্রাহক সার্ভার পদ্ধতি আছে। গ্রাহক কম্পিউটার প্রতিটি অনুসন্ধান করে একটি সার্ভারের কাছে ডেটা অনুরোধ প্রেরণ করে এবং সার্ভার সে ডেটা মিলিয়ে ফেরত পাঠায়।
বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা দ্রুত বিস্তৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘ দুরত্বের সম্পর্ক করা হয়। সর্বশেষ তথ্যে বাংলাদেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ৯ কোটির বেশি। বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবস্থা এখন অনলাইন শিক্ষা, অনলাইন পেমেন্ট প্রণালী, বিনামূল্যে তথ্য সংগ্রহ ইত্যাদি।
ডাটা কেবিল বা অপটিক্যাল ফাইবার
ডাটা কেবিল এবং অপটিক্যাল ফাইবার উভয়ই কমিউনিকেশন সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়, তবে উন্নয়ন স্তরে তাদের ব্যবহার ও কাজের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকে।
ডাটা কেবিল বা কেবল একটি তার যা তৈরি করা হয় তাকে ব্যবহার করে ডেটা পাঠানো হয়। ডেটা পাঠানোর জন্য কেবল স্ট্রিপ ফিল্ড ব্যবহৃত হয়, যা একটি চোখের মতো কাজ করে। কেবলের উপর পাঠানো হয় ইলেকট্রনিক সংকেত যা আলোক বা বিদ্যুৎ চালিত হতে পারে। কেবলে ডেটা সিগনাল পাঠানোর জন্য ফাইবার ব্যবহার করা হয় না।
অপটিক্যাল ফাইবার একটি বিশেষ ধরনের টুকরো যা গ্লাস বা প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি করা হয় এবং এটি ডেটা পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডেটা পাঠানোর জন্য আলো ব্যবহার করে এবং স্পিড ও ক্যাপাসিটি বেশি হয়।
ইন্টারনেটের সুবিধা
ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী জাল যা পৃথিবীর প্রায় সব দেশে উপস্থিত। এর মাধ্যমে মানুষেরা বিভিন্ন সুবিধা লাভ করে থাকেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেটের সুবিধাগুলি হলোঃ
১। তথ্য অ্যাক্সেস: ইন্টারনেট একটি সুবিধাজনক উপায় যার মাধ্যমে মানুষেরা পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায় থেকে তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারেন। ইন্টারনেটে আপনি খুব সহজে যে কোন ধরনের তথ্য খুঁজে পেতে পারেন এবং বিভিন্ন রকমের তথ্য বিষয়ে জানা থাকে।
২। মেল বা চ্যাটিং: ইন্টারনেটে মেল বা চ্যাটিং এর মাধ্যমে মানুষেরা পরিবার, বন্ধু, সম্পর্কিত ব্যক্তি এবং অন্য কেউ সহজে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি দূর থেকে কোন কাজ করার জন্য একটি দরকারী উপায় হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
ইন্টারনেটের অসুবিধা
ইন্টারনেটের সাথে সম্পর্কিত কিছু অসুবিধাগুলি নিম্নলিখিতঃ
১। সাইবার অপরাধ: ইন্টারনেটে আপনার নিজের তথ্য সংরক্ষণ বা গোপনীয়তা অস্থিতিশীল হতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেটে কম্পিউটার ভেদনস্পদ হয়ে ক্র্যম করে এবং এর মাধ্যমে হ্যাকার দ্বারা আক্রমণ করা হতে পারে।
২। ভুল তথ্য বা বিনা যথাযথ তথ্য: ইন্টারনেটে সমস্যা হতে পারে যখন সঠিক বা যথাযথ তথ্য না পাওয়া যায়। নির্ভুল ও যথাযথ তথ্যের জন্য আপনাকে পরিষ্কার উপায়ে অনুসন্ধান করতে হবে এবং যথাযথ তথ্য জানতে হবে।
৩। ইন্টারনেট সমস্যার সমাধান করা একটু কষ্টসাধ্য: ইন্টারনেটে সমস্যা হলে এটি সমাধান করা একটু কষ্টসাধ্য হতে পারে। কারণ সামান্য সমস্যাও অনেকটা বড় সমস্যার মতো হতে পারে।
মোবাইল ফোন এবং কিভাবে মোবাইল টাওয়ার কাজ করে
মোবাইল ফোন এবং মোবাইল টাওয়ার দুটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। এদের মধ্যে মোবাইল ফোন একটি হার্ডওয়্যার উপকরণ যা আপনাকে অন্য মানদন্ড অনুসারে কম্পিউটিং ক্ষমতা দেয়। মোবাইল ফোন একটি বাতা চার্জ করার মাধ্যমে কার্যকর থাকে।
মোবাইল টাওয়ার একটি অনলাইন নেটওয়ার্ক প্রদানকারী, যা মোবাইল ফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সরবরাহ করে। এটি স্বচ্ছতা কন্ট্রোল এবং ডেটা সংগ্রহকর সাথে সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান করে।
একটি মোবাইল ফোন কল করতে এবং ইন্টারনেটে ব্রাউজ করতে কাজ করে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে এবং প্রদর্শন করে। এছাড়াও এটি কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলি সম্পাদন করতে সক্ষম হয় এবং ইন্টারনেটে সংযোগ প্রদান করতে সক্ষম হয়।
বন্ধুরা যদিও ইন্টারনেট আমাদের সুবিধা প্রদান করার জন্যই তৈরি হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের খারাপ উদ্দেশ্য জন্য তার কিছু খারাপ ফলাফল আজ দেখা দিয়েছে। তাই প্রতিমুহূর্তে’ই আপনার এবং আমার সচেতন ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা প্রয়োজন।